তুই ছোট ছিলি, পাগলা ছিলি। তোকে অবজ্ঞা করাটা সবার দায়িত্বের মধ্যে পড়তো।
সবাই মিলে নিজ দায়িত্বে তোকে মারতাম, বকার মাধ্যমে নিজেদের মহান দায়িত্ব মিটাতাম।
আমি দীর্ঘদিন পর যখন বাড়ি যেতাম, তখন দেখতাম খাবারের কষ্ট৷
আব্বু মরার পর থেকে এই কষ্টটা আমাদের পাহারা দিতো।
তোর ক্ষুধা লাগতো খুব। তাই মা তোর জন্য আলাদা ভাত তরকারি ম্যানেজ করে রাখতেন।
আমি আসবো শুনলে তোর ভাগের খাবারটুকু রেখে আমার জন্য অপেক্ষা করতি।
জীবনে ভয়ে কথা খুব বলতে পারিস নি। কিন্তু তোর এই হিমালয়সম হৃদয়ের ভালোবাসা আমার মানসপটে উঁকি দেয় খুব।
আজ তুই বড় হয়েছিস, কিন্তু সেই পাগলা ভাবটুকু তোর যায়নি। তোর পাগলা ভাবের আড়ালে এক বিশাল ভালো আত্মা এখনও লুকিয়ে আছে।
আমার ভালোবাসার গল্পগুলি কখনও তোকে বলা হবেনা।
দোয়া করি,
ভালো মানুষ হও, আর বড় হও, যতোটা বড় হলে কোনো মন্দ তোকে মাড়াতে পারবেনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আমার বাবা মারা যান আমাদের ছোট রেখে। আমি মাদ্রাসায় হোস্টেলে থেকে পড়াশোবা চালাতাম। আমরা ৪র্থ ভাই মাহফুজ ছিলো একটু পাগলাটে। এমন কোনো হেন অবহেলা নাই যে ওকে করা হয়নি। আমাকে বাঘের মতো ভয় করতো। তার অনেক অস্বাভাবিক আচরণের মধ্যে ঘনঘন ক্ষুধা লাগাটাও এরকম একটা আচরণ।
আমি ছুটিতে বাড়ি আসব শুনলে আমার এই পাগল ভাইটি সারাদিন না খেয়ে আমার জন্য খাআার তুলে রাখতো।
২৯ অক্টোবর - ২০২২
গল্প/কবিতা:
২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।